নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামোতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন খুব বেশি দূরে নয়। সূত্রের খবর, মে মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের ঘোষণা দিতে পারে। বিশেষ বিষয় হলো, সরকার ২০২৫ সালের জানুয়ারিতেই এর গঠনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল।
সময়রেখা কী?
বর্তমানে, সপ্তম বেতন কমিশনের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে শেষ হচ্ছে। এর পরে নতুন বেতন কমিশন ১ জানুয়ারী, ২০২৬ থেকে কার্যকর করা হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন আসতে ১৫-১৮ মাস সময় লাগতে পারে, যার কারণে এর প্রকৃত বাস্তবায়ন ২০২৭ সাল পর্যন্ত বিলম্বিত হতে পারে।
সবচেয়ে বড় আলোচনা: বিদ্যমান ডিএ কি মূল বেতনের সাথে যোগ করা হবে?
কর্মচারীদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হল, ২০১৬ সালের মতো ৮ম বেতন কমিশন বাস্তবায়নের পর বিদ্যমান মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) মূল বেতনের সাথে যোগ করা হবে কিনা। সেই সময় ১২৫% ডিএ একীভূত করা হয় এবং আবার ডিএ গণনা শুরু হয়।
ডিএ সূত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন হতে পারে
সরকার ডিএ গণনার জন্য ব্যবহৃত সূত্রটি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করার কথা বিবেচনা করছে। বর্তমানে, DA গণনা করা হয় AICPI-IW সূচকের ভিত্তিতে এবং এর ভিত্তি বছর হল 2016। কিন্তু ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে, এই ব্যবস্থা এখন পুরানো হয়ে গেছে।
সম্ভাব্য পরিবর্তন:
নতুন ভিত্তি বছর হতে পারে ২০২৬
এর ফলে বিদ্যমান ডিএ শূন্য হবে এবং নতুন গণনা শুরু হবে।
২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে ডিএ ৬১% এ পৌঁছাতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
যদি এটি ঘটে, তাহলে ২০২৬ সালে কার্যকর হতে যাওয়া অষ্টম বেতন কমিশন এই ডিএকে মূল বেতনের সাথে একীভূত করতে পারে – যদিও এই সমস্ত কিছুই এখন কেবল জল্পনা।
বেতন কাঠামো কি পরিবর্তন হবে?
২০১৬ সালের মতো এবারও কর্মচারীদের বেতন স্কেল, পদোন্নতি এবং বেতন কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। গতবার, ‘গ্রেড পে’ বিলুপ্ত করা হলেও, পে ম্যাট্রিক্স সিস্টেম বাস্তবায়ন করা হয়েছিল যা স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করেছিল।
প্যানেলের প্রতিবেদনের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
বর্তমানে, অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশের পরেই এই সমস্ত বিষয়ে চূড়ান্ত সিলমোহর দেওয়া হবে। তারপর স্পষ্ট হবে কর্মীদের বেতন কত বাড়বে, ডিএ সূত্র কী হবে এবং নতুন বেতন কাঠামো কেমন হবে। আগামী বছর লক্ষ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর জন্য অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষায় পূর্ণ। অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি তাদের বেতন এবং ভাতাগুলিকে একটি নতুন স্তরে নিয়ে যেতে পারে – যদি সরকার এই দিকে গতি দেখায়।