DA News: রাজ্য সরকারী কর্মীদের জন্য বিরাট সুখবর এসেছে, বড় নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। ৪ সপ্তাহের মধ্যে মেটাতে হবে বকেয়া ডিএ, জানালেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। রাজ্যের কোমর ভেঙে যাবে, আদালতে আপত্তি জানায় রাজ্য। ২০০৯-এর পয়লা জুলাই থেকে বকেয়া মহার্ঘভাতা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া DA-র ২৫ শতাংশ দিতে হবে এখনই, জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চার সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এই আবহে কী বললেন রাজ্য সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য? ডিএ নির্দেশ নিয়ে আজ মন্ত্রী বললেন, ‘ডিএ মামলার সুপ্রিম নির্দেশিকা এখনও হাতে পাইনি। পাওয়ার পর যা বলার বলব।
মহার্ঘভাতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা পাওয়ার পর এ বিষয়ে মতামত জানাবেন৷ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির সময় রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, ডিএ কোনও সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না৷ সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার একটি রায় দিয়ে জানিয়েছে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ২৫ শতাংশ ডিএ দিতে হবে৷
শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পর শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই রায় পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের এক বিশাল জয়। যাঁরা বছরের পর বছর দাম্ভিক, নির্দয় এবং অমানবিক রাজ্য সরকারের অবিচারের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছেন।”
বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য এদিন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন, যাতে অন্তত বকেয়া ডিএ নিয়ে কিছু একটা নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই শীর্ষ আদালত ২৫ শতাংশ ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্য তো আরও বড় ধাক্কা খাচ্ছিল। মামলাটা ডিসমিস করে দিত সুপ্রিম কোর্ট। তারপর রাজ্য আকুতি-মিনতি করল।”
বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট বলেছে, আগে বকেয়া টাকা দাও, তারপর কথা বলব। কোনও কথা শুনতে চাননি বিচারপতি।” একই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, ৫০ শতাংশ ডিএ দিতে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য। বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “৫০ শতাংশ ডিএ দিতে বলেছিল। তারপর রাজ্য কান্নাকাটি করল। তখন ২৫ শতাংশ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
আইজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, ডিএ সংক্রান্ত মামলার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে একটা প্রভাব থাকতে পারে, এ কথা ভেবেই মামলাটি শোনার সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ফিরদৌস শামিম।