নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। ‘মহার্ঘ ভাতা (DA) দয়ার দান নয়, সরকারি কর্মচারীদের অধিকার, মান্যতা দিয়েছে রাজ্য সরকার’। সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া ডিএ মামলার আগে বড় বিষয় সামনে এল। আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের শীর্ষ আদালতে ডিএ মামলার শুনানি হতে পারে।
কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সভাপতি শ্যামল মিত্র জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার যে কোনওভাবে ডিএ মামলায় বিলম্ব করার চেষ্টা করছেন। কারণ রাজ্য ভালোমতো জানে, ২০১৮ সালের ৩১ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেটার বিরুদ্ধে কোনও উচ্চতর আদালতে আবেদন করেনি। বরং রাজ্য সরকার সেই রায়কে মান্যতা দিয়েছে। অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩১ অগস্টের সেই রায় পরিবর্তন করার কোনও সুযোগ রাজ্য সরকারের কাছে। এমনই মত তাঁর।
রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের নেতা আরও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছে, সেটা ২০২২ সালের ২০ মে হাইকোর্টের দেওয়ার রায়ের প্রেক্ষিতে। তাই তাঁরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে সুপ্রিম কোর্ট যা রায় দিক না কেন, ২০১৮ সালের ৩১ অগস্ট হাইকোর্টের রায় খারিজ করে হয়ে যাবে না। সেজন্য মামলা নিয়ে তিনি অত্যন্ত আশাবাদী বলে জানিয়েছেন।
২০১৮ সালের ৩১ অগস্টের রায়ে হাইকোর্ট কী বলেছিল?
এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত এবং বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছিল যে মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) সরকারের দয়ার দান নয়। সরকারি কর্মচারীদের আইনি অধিকার।
আগামী ৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা ওঠার কথা আছে। কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের নেতারা আশাপ্রকাশ করেছেন যে এবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি হবে। সেদিন ডিএ মামলার ১৪ তম শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের নেতারা।