বকেয়া মহার্ঘ ভাতা: সদ্য ৩ শতাংশ ডিএ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ফলে এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ডিএ পাচ্ছেন ৫৩ শতাংশ। অন্যদিকে, এরাজ্যের সরকারি কর্মীরা ডিএ পাচ্ছেন মাত্র ১৪ শতাংশ। শতাংশের হিসাবে এরাজ্যের কর্মীরা ৩৯ শতাংশ পিছিয়ে আছেন। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া ডিএ ইস্যুতে (Dearness Allowance) কার্যত ফের চাপের মুখে রাজ্য সরকার।
বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানো এবং কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা (AICPA DA Hike) চালু করা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি কর্মচারীরা বা (Government Employee Benefits) মহার্ঘ ভাতা বা বকেয়া ডিএ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও চলছে। কিন্তু রাজ্য সরকার (Government of West Bengal) এই দাবি কোনোভাবেই মেনে না নেওয়ায়, ক্ষোভ ক্রমেই বেড়ে চলেছে তাদের।
ডিএ ইস্যুতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ২৯ অক্টোবর দুপুর ১২টা থেকে ২টো পর্যন্ত একটি “পেন ডাউন” ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। এই মারফত সেদিন রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিসগুলিকে কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় তারা। যা বেকায়দায় ফেলছে রাজ্য সরকারকে।
সরকারি কর্মচারীদের প্রধান দাবি হল ডিএ বকেয়া প্রদান। AICPI অনুসারে বকেয়া ডিএ আদায় করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। এছাড়াও, তারা রাজ্যের প্রায় ৬ লক্ষ শূন্যপদ পূরণের জন্য স্বচ্ছ ও স্থায়ী নিয়োগ চেয়ে আসছেন। কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থার দাবিও তাদের আন্দোলনের অন্যতম দাবি।
ডিএ আন্দোলনের একজন অন্যতম মুখ ভাস্কর ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় কর্মচারীদের লড়াইকে আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। তার মতে, সকল কর্মচারী একত্রিতভাবে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলে তাদের দাবিগুলি পূরণে সফলতা আসতে পারে। শুধু বেতনবৃদ্ধিই নয়, কর্মীদের অধিকার রক্ষা এবং শূন্যপদে সঠিক নিয়োগ করা মূলত এই দুটি দাবিকে সামনে রেখেই তারা আন্দোলন চালাবেন। অন্যদিকে রাজ্য সরকার ও আদালতের বিচারাধীন বলে এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, এবার বাংলাতেও ডিএ বৃদ্ধির তোড়জোড় শুরু হল। অর্থ দফতর তোড়জোড়ও শুরু করেছে বলে খবর মিলেছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়তে পারে শীঘ্রই। এমনই দাবি করা হয়েছে একটি রিপোর্টে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রের পরে এবার পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ানো হতে পারে ২ থেকে ৩ শতাংশ। এই ডিএ বৃদ্ধি করতে নাকি রাজ্য অর্থ দফতরে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।