নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি আরও ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। তবে এরাজ্যে দেখা নেই মহার্ঘ ভাতার। বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) ইস্যুতে এই মুহূর্তে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। আগামী বছর জানুয়ারি মাসে মামলা উঠবে সুপ্রিম কোর্টে। এরই মাঝে বেতন বঞ্চনা নিয়ে বিরাট মন্তব্য করলেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপালয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে সম্প্রতি মলয়বাবু লেখেন, ‘বিষয়:- ডিএ এবং পে কমিশন। আমাদের রাজ্যে একটি পে-কমিটি (১৯৭০) হওয়ার কারনে ৫ম বেতন কমিশনের জায়গায় তা ৪র্থ এবং ৭ম এর জায়গায় ৬ষ্ট হয়েছে। এবার আসি Actual effect এবং Notional effect-এর বিষয়টিতে। বেতন কমিশনের সুপারিশ কেন্দ্রীয় সরকার মেনে নিদিষ্ট সময় মতো বেতন বৃদ্ধি করাকে Actual effect বলে! অপরদিকে Notional effect, বেতন কমিশনে বেতন বৃদ্ধি হলো কিন্তু সেই বকেয়া বেতন একটি নিদিষ্ট সময় পর্যন্ত হাতে পাবেন না। কি কিউট তাই না!’
তিনি আরও লেখেন, ‘এই সিস্টেমটি বাম আমলের সৃষ্টি। তবুও বলবো বাম আমলের Notional effect সহ্য করা গেলেও তৃণমূল সরকারের আমলে তা অসহ্য।’ এর সঙ্গে একটি চার্ট পোস্ট করেন মলয়বাবু। সেখানে লেখা, ‘কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের পঞ্চম বেতন কমিশনের অ্যাকচুয়াল এফেক্ট ১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি। আর পশ্চিমবঙ্গের চতুর্থ বেতন কমিশনের নোশনাল এফেক্ট ১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি।’
এরপর তিনি লেখেন, ‘কেন্দ্রের পঞ্চম বেতন কমিশনের ডিএ মিলতে শুরু করে ১৯৯৬ সালের ১ জুলাই থেকে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ বেতন কমিশনের ডিএ দেওয়া শুরু হয় তার পরের বছর থেকে। ১৯৯৭ সালের ১ অগস্ট থেকে (১৩ মাস বকেয়া)।’ তার সাথে বর্তমান বেতন কমিশন নিয়ে বলা হয়, ‘কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সপ্তম বেতন কমিশনের অ্যাকচুয়াল এফেক্ট ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি। আর পশ্চিমবঙ্গের ষষ্ঠ বেতন কমিশনের নোশনাল এফেক্ট ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে।’
মলয়বাবু আরও লেখেন, ‘কেন্দ্রের সপ্তম বেতন কমিশনের ডিএ মিলতে শুরু করে ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে। আর রাজ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অ্যাকচুয়াল এফেক্ট হয় ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে। ডিএ দেওয়া শুরু হয় ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে (৫৪ মাস পর থেকে)।’ শনিবার সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপালয়িজের সাধারণ সম্পাদক।