স্কুল ছুটি ঘোষণা: কালীপুজোর আগেই রাজ্যে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা (Cyclone Dana) আসছে। এর প্রভাবে বাংলা ও ওড়িশার বেশ কিছু জেলায় ভারী-অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ‘দানা’-য় দুর্যোগ-শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতির সকালে ঘূর্ণিঝড় পৌঁছতে পারে বাংলা ও ওড়িশার উপকূলে। সাগরদ্বীপ ও পুরীর মাঝে আছড়ে পড়তে পারে ভূভাগে।ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ১০০ – ১১০ কিমি/ঘণ্টা। প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-এর প্রস্তুতিতে ওড়িশা সরকার সোমবার ঘোষণা করেছে যে 14টি সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত জেলার স্কুল 23 থেকে 25 অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
বিশেষ ত্রাণ কমিশনার, ডি কে সিং এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে স্কুল ও গণশিক্ষা বিভাগের কমিশনার-কাম-সচিবকে অবহিত করেছেন। সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে গঞ্জাম, পুরী, জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক, বালাসোর, ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝার, ঢেনকানাল, জাজপুর, আঙ্গুল, খোরধা, নয়াগড় এবং কটক।
এসআরসি সিং নির্দেশ দিয়েছেন, “ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে, 23শে অক্টোবর থেকে 25শে অক্টোবর 2024 পর্যন্ত উপরোক্ত জেলাগুলির স্কুলগুলি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বন্ধ থাকবে৷ তাই, সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।”
রাজস্ব ও বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সুরেশ পূজারি পুরীর জেলা প্রশাসনকে পর্যটকদের দূরে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছেন, কারণ এই অঞ্চলটি ঝড়ের দ্বারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে পুরীতে থাকা ভক্তদের 22 অক্টোবর থেকে উপকূলীয় শহর ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
‘দানা’-য় দুর্যোগ-শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতির সকালে ঘূর্ণিঝড় পৌঁছতে পারে বাংলা ও ওড়িশার উপকূলে। সাগরদ্বীপ ও পুরীর মাঝে আছড়ে পড়তে পারে ভূভাগে।ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ১০০ – ১১০ কিমি/ঘণ্টা।
বাংলায় কোথায় কেমন বৃষ্টি?
ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার
পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু অঞ্চলে।
বৃহস্পতিবার
পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ, ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪, পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও ঝাড়গ্রাম
শুক্রবার
পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার কিছু অঞ্চলে ।
মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা
বুধ থেকে শুক্র পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের ওড়িশা ও বাংলার উপকূল অঞ্চলে সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে।