নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। এই রায়ের পরে গোটা রাজ্যজুড়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। কেন যোগ্য এবং অযোগ্য আলাদা করা গেল না, তা নিয়েও চলছে কাটাছেড়া। সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে চাকরি হারানোদের সঙ্গে বৈঠকে বসে তাঁদের আশ্বাস দেন, এবং জানান—যোগ্যদের চাকরি যাবে না, যোগ্যদের রক্ষা করতেই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যাবে, রায়ের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন।
এবার মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রাত্য জানান, “রাজ্য সরকার আইনি পথে এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবে এবং চাকরি হারানোদের পাশে থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়টিকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছেন। তিনি পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। কেউ কী বলছেন, সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত রুচি। কিন্তু যে সহমর্মিতা মুখ্যমন্ত্রী দেখিয়েছেন সেটায় সকলের সাড়া দেওয়া উচিত।”
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা আইনি প্রক্রিয়াতেই খতিয়ে দেখা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে অনেকেই চিন্তা করছেন। ফল প্রকাশে কোনও দেরি হবে না। পর্ষদের সঙ্গে কথা হয়েছে, খুব শিগগিরই ফল প্রকাশের দিন ঘোষণা করা হবে।”
অতিরিক্ত শূন্যপদ বা সুপার নিউমোর্যারি পোস্ট নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর প্রতিক্রিয়া ”এটা প্রমাণিত হল, সত্যমেব জয়তে”। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে ব্রাত্যর তীর্যক মন্তব্য, ” অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আগে বিচারপতি ছিলেন, তখন রাজনৈতিক লোকেদের মতো কথা বলতেন। এখন সাংসদ, অথচ বিচারপতিদের মতো কথা বলছেন।”