Big News: তিন হাজার শূন্যপদে নিয়োগ, দুদিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে হবে, বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

305
কলকাতা হাইকোর্ট শিক্ষক নিয়োগ

মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন শূন্যপদে নিয়োগ

মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন: রাজ্যে নিয়োগ মামলায় বড় খবর সামনে এল। আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে। পরীক্ষার ফল বার করতে ১৪ বছর! কারচুপি করতে এত সময় লাগে?’ মাদ্রাসা মামলায় কটাক্ষ বিচারপতি অমৃতা সিনহার।

২০১০ সালে গ্ৰুপ ডি-তে তিন হাজার শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। অভিযোগ, সেই পরীক্ষার ফল এখনও বার করেনি কমিশন। ১৪ বছর কেটে গিয়েছে, কিন্তু এখনও ফলপ্রকাশ না হওয়ায় উদ্বিগ্ন চাকরিপ্রার্থীরা। এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।

এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সময় বেঁধে ফলপ্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল। কলকাতা হাই কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বাকি মাত্র দু’দিন! মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশে জানান, আগামী তিন দিনের মধ্যেই মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে ফলপ্রকাশ করতে হবে।

কমিশন গ্ৰুপ ডি-তে নিয়োগের জন্য নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে আবারও হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। হাফিজুল হক-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী হাই কোর্টের মামলা করেন। তাঁদের বক্তব্য, গত ৫ অগস্ট নতুন করে নিয়োগ করতে চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কমিশন। অথচ আদালতের আগের নির্দেশ মেনে এখনও পর্যন্ত ফলপ্রকাশ করা হয়নি।

পড়ুন:  Big News: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বড় রায় হাইকোর্টের, বিকল্প ডিগ্রি নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন ২০২২-এর টেট প্রার্থীরা

মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিংহের পর্যবেক্ষণ, ‘‘একটি পরীক্ষার ফল বার করতে কী ভাবে ১৪ বছর সময় লাগতে পারে?’’ কমিশনের উদ্দেশে বিচারপতির কটাক্ষ, গত ১৪ বছর ধরে পরীক্ষার ফল বার করা গেল না! কারচুপি করতে কি এত সময় লাগে? বিচারপতি সিংহের মন্তব্য, ‘‘তিন হাজার শূন্যপদের জন্য এক লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। সেখান থেকে অনেক টাকা পেয়েছেন। আগে কমিশন ওই ফল বার করুক, তার পরে আদালত তাদের বক্তব্য শুনবে।’’ 

পড়ুন:  আছেন জয়েন্ট বিডিও, স্কুল শিক্ষক, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক! ভুয়ো সার্টিফিকেট দেখিয়ে সরকারি চাকরি অন্তত ৩০ জনের

Assistant Professor: সরাসরি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগ, কোন বিষয়ে জেনেনিন

আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগেই কমিশনকে ফলপ্রকাশ করতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১০ সালে গ্ৰুপ ডি-তে তিন হাজার শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। ওই বছরই পরীক্ষা হয়। প্রায় এক লক্ষ চাকরিপ্রার্থী ওই পরীক্ষায় বসেছিলেন। 

পড়ুন:  রাজ্য প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক পদে শূন্যপদ ৫৬৩৫ টি, নিয়োগ নিয়েও মন্তব্য করলেন ব্রাত্য বসু