Homeপশ্চিমবঙ্গতবে কি নিয়োগ না করে ট্রান্সফার করে চলবে? শিক্ষকদের গ্রামে গিয়ে শিক্ষকতা...

তবে কি নিয়োগ না করে ট্রান্সফার করে চলবে? শিক্ষকদের গ্রামে গিয়ে শিক্ষকতা করা নিয়ে ব্রাত্য বসুর মন্তব্যে প্রশ্ন

নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকদের চাকরি জীবনের শুরুতে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে শিক্ষকতা করা উচিত বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। 

শিক্ষকের অভাবে বহু গ্রামের স্কুলে নিয়মিত পঠনপাঠন হয় না বলেও অভিযোগ। মঙ্গলবার এ বিষয়টি বিধানসভার আলোচনা পর্বে উঠল প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন, “আমি মনে করি শিক্ষকদের চাকরি জীবনের শুরুতে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে শিক্ষকতা করা উচিত!”

শিক্ষকের অভাবে বহু গ্রামের স্কুলে নিয়মিত পঠনপাঠন হয় না বলেও অভিযোগ। মঙ্গলবার এ বিষয়টি উঠেছিল বিধানসভার আলোচনা পর্বে।

সেখানে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) যা বলেছেন, তা যথেষ্টতাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। ব্রাত্য বসু বলেন, “আমি মনে করি শিক্ষকদের চাকরি জীবনের শুরুতে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে শিক্ষকতা করা উচিত!”

এই বিষয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারন সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন গ্রামাঞ্চলের বিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষকদের যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। আমাদের প্রশ্ন, সমস্ত শূন্য পদে নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে গ্রামাঞ্চলে শূন্যপদ থাকবে কেন? বেকাররা নিয়োগ পাওয়ার জন্য হাহাকার করে বসে আছে। তবে কি নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রেখে বর্তমানে যে অসংখ্য শূন্য পদ রয়েছে সেই পদগুলিতে কেবল ট্রান্সফারের মধ্য দিয়েই চালাতে চাইছে সরকার? আসল সমস্যা হলো নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকা। সেটি চালু করলে এটা কোন সমস্যাই নয়।”

পড়ুন:  দ্রুত নিয়োগ: প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর শূন্যপদের তথ্য দেওয়ার নির্দেশ

এরাজ্যের সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলিতে (Primary School) শিক্ষকের শুন্য সংখ্যা আছে ৫ হাজার ৬৩৫টি। তবে এই শূন্যপদের মধ্যে অধিকাংশই গ্রামে বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী।

মঙ্গলবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবীর এই বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। যার জবাবে এই তথ্য দেন ব্রাত্য বসু। 

পড়ুন:  SSC: পিছিয়ে গেল এসএসসি ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি, কবে শুনবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ?

এদিন, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলোতে ২০২৩ সালে ৯৫০০নিয়োগ সম্ভব হয়েছে। এখনও প্রায় ৫৬৩৫ টি শূন্যপদ রয়েছে। আইনি জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। তবে আশা করছি দ্রুত নিয়োগ হবে। ব্রাত্য বসু আশা করছেন দ্রুত আইনি জটিলতা কেটে যাবে, সেক্ষেত্রে দ্রুতই শিক্ষক নিয়োগ হবে। 

RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments