নিউজ ডেস্ক: বিরাট ধাক্কা রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির জন্য। তছনছ হল শুভেন্দু অধিকারী মিথ! কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কে বিপুল জয় পেল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ২৩ বছর টানা সভাপতি শুভেন্দু অধিকারীর জমানার অবসান ঘটল বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।
কাঁথি কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন সমবায় ব্যাঙ্ক অর্থাৎ কার্ড ব্যাঙ্কের ১১টি কেন্দ্রে ভোট হয় শনিবার। ৭৮টি আসনের ৭৮টিতেই জয় পেয়েছে তৃনমূল। ভোট শুরুর পরেই কাঁথির জাতীয় বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রের থেকে কিছুটা দূরে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ভাবা হয়েছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, কিন্তু ভোটের ফল ঘোষণা হতেই দেখা গিয়েছে একতরফা ফল হয়েছে। একেবারে পর্যদুস্ত হয়েছে গেরুয়া শিবির।
এই নিয়ে কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “চোরের মায়ের বড় গলা। মানুষ নেই, জনবল নেই, ভোটার নেই। এখন পিঠ বাঁচাতে হবে। তাই শুভেন্দু অধিকারীর চ্যালারা মিথ্যে অভিযোগ করে সকাল থেকে মাঠ গরমের চেষ্টা করেছেন। হাওয়া বেরিয়ে গিয়েছে।”
কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি পীযূষকান্তি পন্ডা বলেন, “মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে যে রয়েছে তা এই বিপুল জয় প্রমাণ করে। কাঁথিতে অধিকারী মিথ আগেই ভেঙে চুরমার হয়েছিল। এদিন আবারও কাঁথিতে অধিকারী রাজত্বের যে পতন হয়েছে তা প্রমাণিত হল। এই জয়ে সমবায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যের নেতা আশিস চক্রবর্তী জানান যে, পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে সমবায়ের ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর যে মৌরসিপাট্টা চলছিল বর্তমানে সাধারণ মানুষ তা ভেঙে দিয়েছে। তিনটি ব্যাঙ্ক যথাক্রমে তমলুক এআরডিবি, কন্টাই কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, কন্টাই কার্ড ব্যাঙ্কের যে দীর্ঘদিন ধরে অরাজকতা চলছিল, সুস্থ গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষ তা শেষ করেছেন।”
যদিও কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সোমনাথ রায় বলেন, “ভোটের নামে দিনভর নাটক আর প্রহসন হয়েছে। তৃণমূল বুথ ভাঙচুর করেছে, ভোটার স্লিপ কেড়ে নিয়েছে। মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে এর উত্তর দেবেন।”