নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। এই রায়ের পরে গোটা রাজ্যজুড়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। কেন যোগ্য এবং অযোগ্য আলাদা করা গেল না, তা নিয়েও চলছে কাটাছেড়া। এবার এই বিষয়ে বড় মন্তব্য করলেন সিনিয়র আইনজীবি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বিকাশের অভিযোগ, চাকরিহারাদের ভুল পথে পরিচালিত করছেন মমতা।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যারা চাকরি হারিয়েছেন তাঁদের সভাতে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে থেকে তিনি বলেছেন, বেঁচে থাকলে কারও চাকরি যেতে দেবেন না। এবার এই নিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন এই সিনিয়র আইনজীবি।
বিকাশের বক্তব্য, ”শিক্ষাব্যবস্থার ওপর প্রভাব উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তৈরি করেছেন। যখন টাকা নিয়ে চাকরি দিচ্ছিলেন তখন মনে হয়নি শিক্ষাব্যবস্থার ওপর প্রভাব পড়বে? আজও তিনি স্বীকার করছেন যে টাকা নিয়েই চাকরি দিয়েছেন। এখন চাকরিহারাদের ভুল পথে পরিচালিত করছেন।”
একসঙ্গে ২৬ হাজার জনের চাকরি চলে যাওয়ায় স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থায় বড়সড় প্রভাব পড়বে বলে অনেকেই মনে করছেন। যদিও বিকাশ ভট্টাচার্য মনে করেন, ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে গেলেও বড়সড় প্রভাব পড়বে না। বরং তাঁরা থাকলে সমাজব্যবস্থার ওপর প্রভাব পড়বে। কারণ প্রজন্মের পর প্রজন্ম জানবে তাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন।
এসএসসি-র (SSC) অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল তা মঙ্গলবার খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসও এই রায়কে নিজেদের জয় হিসেবে দেখছে। যদিও বিকাশের দাবি, এই রায়ে জয়ের কিছু নেই। তৃণমূল সরকার যে দুর্নীতিগ্রস্ত, তা কেউ খণ্ডাতে পারবে না।
বিকাশ রঞ্জন বলছেন, ”তাঁরা তো নিজেদের জয়ী ভাববেই। গোটা ক্যাবিনেটটাই জেলে চলে যাবে, তা থেকে মুক্ত হলেন তাঁরা। তাই ভাবছেন এটা তাঁদের জয় হল। দুর্নীতিমূলক নিয়োগ নিয়ে কোনও জয় নেই। জেলে যাওয়া থেকে বাঁচবার জন্য জয়। এটাকে ওরা সত্যিই জয় মনে করতে পারে।”