নিউজ ডেস্ক: জাতীয় শিক্ষা নীতিতে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকে স্কুলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। গোটা দেশেই এই নীতি মেনে প্রাথমিকের সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণিকে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ রাজ্যেও প্রায় ১৭ হাজার প্রাথমিক স্কুলে ২০১৮ সাল থেকে পঞ্চম শ্রেণিকে যুক্ত করার করা শুরু হয়। তবে বাকি প্রাথমিক স্কুলে তা করা হয়নি এখনও। সেই সংখ্যাটা প্রায় ৩৩ হাজার। ধাপে ধাপে এই সংখ্যক প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি যুক্ত করা হচ্ছে।
সেই দিকে মাথায় রেখে শিক্ষা দপ্তর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিল আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যের ২৩৩৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পঞ্চম শ্রেনীতে উন্নীত করা হবে। ওই সব বিদ্যালয়ে যথাযথ পরিকাঠামো আছে, সেইসাথে ওইসব স্কুলের তালিকাও প্রকাশিত হল এদিন।
প্রাথমিক স্কুলগুলিতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করার ব্যাপারে কয়েক মাস আগেই উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য সরকার। সব কিছু খতিয়ে দেখে ২৩৩৫টি প্রাথমিক স্কুলের তালিকা প্রকাশ করা হল।
এই বিষয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। কিন্তু তার জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষক নেই। এইসব বিদ্যালয়ের কোথাও গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি কর্মচারী নেই। এই অবস্থায় শিক্ষার অধিকারের কথা বলা হলেও প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে শিশুরা। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির সার্বিক পরিকাঠামো সহ পর্যাপ্ত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা না করা হলে অভিভাবকদের বিরাট অংশ তাঁদের সন্তানকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে না রেখে বেসরকারি বিদ্যালয়ে নিয়ে যাবে। এর ফলে সরকারি শিক্ষা আরও ধ্বংসের দিকে যাবে।”
অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারী চন্দন গরাই বলেন, “দেরিতে হলেও ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ২৩৩৫ টি প্রাইমারি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীর অন্তর্ভুক্তি অবশ্যই সঠিক সিদ্ধান্ত, তবে প্রাইমারি স্কুলগুলিতে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ ও পরিকাঠামো উন্নয়ন না হলে পঠনপাঠন সমস্যা বাড়বে ও এর ফলে জুনিয়র হাইস্কুলের অস্তিত্ব সমস্যায় পড়বে।’