Big News: ১ লক্ষ শিক্ষক সহ ২-৩ লক্ষ সরকারি নিয়োগ হবে বলে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

4227
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষনা

নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ নিয়ে বিরাট মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি)-র শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলা মিটে গেলেই ২-৩ লক্ষ সরকারি নিয়োগ হবে বলে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। রাজ্যে ২-৩ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে বুধবার বিধানসভায় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন মমতা বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট ওবিসি নিয়ে গত কাল একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। খারাপ কিছু বলেনি। এই সমস্যা মিটে গেলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুলিশ মিলিয়ে প্রায় ২-৩ লক্ষ নিয়োগ হবে। জটিলতা কেটে গেলে এই চাকরিগুলো হবে। তার মধ্যে ১ লক্ষ শিক্ষকের চাকরি পড়ে রয়েছে।’’ পাশাপাশি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বার বার বিরোধীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে সেটাকে আটকানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করে বিরোধীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে শত্রুতা করে নিয়োগ আটকাবেন না।’’

মমতা আরও বলেন, ”চাকরি আটকাতে মামলার খেলা খেলবেন না। আমার সঙ্গে শত্রুতা করলে আমার কাজের মনোবল বেড়ে যায়, এসব করে নিয়োগ আটকাবেন না। এসব খেলা খেলবেন না।”

পড়ুন:  ডিসেম্বরেই দেওয়া হবে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা! এই প্রকল্পে টাকা দেবে রাজ্য সরকার! কাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা? জেনেনিন

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) সংরক্ষণের বিষয়ে নতুন করে সমীক্ষা করছে রাজ্য সরকার। সেই সমীক্ষা করে রিপোর্ট পেশ করা হবে। কারা ওবিসি তালিকাভুক্ত হওয়ার যোগ্য সেটা আবার নতুন করে যাচাই করা হচ্ছে। ওবিসি মামলার শুনানি তিন মাস পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। সেই আবেদন সুপ্রিম কোর্ট মঞ্জুর করেছে। এই বিষয়ে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানিয়েছেন।

পড়ুন:  শিক্ষক নিয়োগ: ঝাড়খন্ডে 60,000 শিক্ষক নিয়োগ, কারা আবেদন করতে পারবেন?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যে ওবিসি শংসাপত্র পদ্ধতি মেনে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। গত ২২ মে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দেয়। হাই কোর্টের নির্দেশে প্রায় ১২ লক্ষ শংসাপত্র অকেজো হয়ে যায়। উচ্চ আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।