BIG NEWS: ব্রাত্য বসুর গাড়িতে হামলা, আহত শিক্ষামন্ত্রী, জখম দুই অধ্যাপক-সহ চার জন

2283
শিক্ষকদের পেনশনে
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ফাইল চিত্র

নিউজ ডেস্ক: এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার মুখে পড়লেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যাদবপুরে ব্রাত্য বসুর গাড়িতে হামলা, কাচ ভেঙে আহত মন্ত্রী, ছাত্রসংঘর্ষে জখম হলেন দুই অধ্যাপক-সহ চার জন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এমনকি আন্দোলনরত পড়ুয়ারা ব্রাত্যের গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেন।

জানা গেছে, ব্রাত্য তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার বৈঠক সেরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরোচ্ছিলেন। সেই সময় ব্রাত্যের গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেন ওই পড়ুয়ারা। গাড়ি থেকে নেমে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু তাঁর সামনেই চলতে থাকে বিক্ষোভ। ওঠে ‘চোর-চোর’ এবং ‘গো ব্যাক স্লোগান’। পরে মন্ত্রীর গাড়ি এবং সঙ্গে থাকা দু’টি পাইলট কারে ভাঙচুর চালানো হয়। মন্ত্রী জানান, কাচের টুকরো গায়ে লেগে তিনি আহত হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন এসএসকেএম হাসপাতালে।

এদিন, পড়ুয়াদের বিক্ষোভ থেকে রেহাই পাননি অধ্যাপকেরাও। এক সময় প্রতিবাদী পড়ুয়াদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় ওয়েবকুপার সদস্যদের। যাদবপুরের অধ্যাপক তথা ওয়েবকুপার সদস্য ওমপ্রকাশ মিশ্রকে লাঠি হাতে তাড়া করেন বাম এবং অতি বাম সংগঠনের কয়েক জন পড়ুয়া। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ধস্তাধস্তির মধ্যে এক পড়ুয়ার মাথা ফেটেছে। আহত হয়েছেন দুই অধ্যাপক। এক মহিলা অধ্যাপকের শাড়ি ছেঁড়ার অভিযোগও উঠেছে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।

পড়ুন:  লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পর এবার আরও একটি প্রকল্প নিয়ে দারুণ সুখবর এল! রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন বহু

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরোনোর আগে ছাত্রবিক্ষোভ সম্পর্কে ব্রাত্য বলেন, “এই গুন্ডামি চলতে পারে না। পড়ুয়াদের চার জন প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে পারি। কিন্তু সবাই মিলে গুন্ডামি করলে মুশকিল। তবে আমি কোনও প্ররোচনায় পা দেব না। যাঁরা এগুলি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে উপাচার্য পদক্ষেপ করবেন। এটা যদি উত্তরপ্রদেশে হত, কোন‌ও ছাত্র সংগঠন এই কাজ করতে পারত? আজকের যে ঘটনা, আমরা চাইলেই পুলিশ ডাকতে পারতম। কিন্তু আমি বারণ করেছি, শিক্ষাঙ্গনে যেন এক জনও পুলিশ না প্রবেশ করে। যাঁরা আজ অধ্যাপকদের উপর আক্রমণ করছেন, তাঁরা শিক্ষাক্ষেত্রে গৈরিকীকরণের বিরুদ্ধে কটা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন?” তাঁরা তৃণমূলের অধ্যাপকদের উপর আঘাত করতে চান, কিন্তু বিজেপির ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চুপ থাকেন।”