নজিরবিহীন: হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ ও পাকিস্তান জিন্দাবাদ লিখে পাকিস্তানের পতাকা সেঁটে অশান্তি ছড়ানোর ছক! এরপর যা হল

1061
পাকিস্থানি পতাকা

নিউজ ডেস্ক: বনগাঁয় পাকিস্তানের পতাকা সেঁটে অশান্তি ছড়ানোর ছক করতে গিয়ে গ্রেফতার দুই ‘সনাতনী’। বনগাঁ পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে এই সম্পর্কে বলা হয়েছে, গতকাল রাতে গোপালনগর থানার অন্তর্গত আকাইপুর রেল স্টেশনের পাশে একটা ওয়াশরুমের দেওয়ালে পাকিস্তানের পতাকা সাঁটানো হয়েছিল। এরপর পুলিশ তদন্তে নামলে আসল ঘটনা সামনে এল।

পাকিস্থানি পতাকা

এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। বনগাঁ পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গতকাল রাতে গোপালনগর থানার অন্তর্গত আকাইপুর রেল স্টেশনের পাশে একটা ওয়াশরুমের দেওয়ালে পাকিস্তানের পতাকা সাঁটানো হয়েছিল। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ইচ্ছাকৃতভাবে ওই পতাকাটা টাঙানো হয়েছিল।

৩০ বছর বয়সি চন্দন মালাকার ও ৪৫ বছর বয়সী প্রজ্ঞাজিত মণ্ডল দুজনেই স্থানীয় বাসিন্দা তারা এই ঘটনার পেছনে রয়েছে। তারা একটি রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য। সনাতনী একতা মঞ্চেরও সদস্য তারা। তারা এই কাজের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। এমনকী তারা পরিকল্পনা নিয়েছিল হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ ও পাকিস্তান জিন্দাবাদ এই কথাগুলি লিখবে। এলাকায় সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর জন্য় তারা এই পরিকল্পনা নিচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের উভয়কেই নির্দিষ্ট মামলার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। জানিয়েছে পুলিশ।

পড়ুন:  ছাত্রীদের বউ, ডার্লিং বলে ডাক! গ্রেফতার স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে

যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সনাতনী একতা মঞ্চের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। কিন্তু সামনে সনাতনী একতা মঞ্চের মোড়ক আর পেছনে অশান্তি ছড়ানোর ছক ছিল! কোন একটি নির্দিষ্ট ধর্ম সম্প্রদায়ের উপর দোষ চাপাতেই এই কাজ করা হচ্ছিল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। স্থানীয় বাসিন্দারা দুই জনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।