নিউজ ডেস্ক: এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের ভাতায় দুমুখো নীতি বন্ধ করে সমতা আনতে এই চিঠি দেওয়া হল।
আসলে রাজ্য সরকার পোষিত বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকেরা মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। ওই ৫০০ টাকা কোনও শিক্ষক না নিলে, তিনি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওয়াত যেতে পারবেন।
তবে সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা সেই ৫০০ টাকার মেডিক্যাল অ্যালাওয়েন্স ছেড়ে দিলে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সরকারি হেল্থ স্কিমের সুবিধা পান। অথচ সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকেরা মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ছেড়ে দিলে শুধুমাত্র সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকার সাহায্য পাবেন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায়।
এই আবহে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লিখেছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের প্রশ্ন, সাধারণ মানুষের যাঁরা স্বাস্থ্যসাথী পাচ্ছেন, তাঁদের তো মাসে ৫০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে না। তাহলে সেই পরিষেবা পেতে তাঁদের কেন ৫০০ টাকার ভাতা ছাড়তে হবে?
এই নিয়ে এই বিষয়ে সরকারের বক্তব্য, প্রাথমিক বা মাধ্যমিক স্তরের সরকার পোষিত বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা কিন্তু সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের মতো পুরো সরকারি কর্মী নন। তাঁদের নিয়োগ পদ্ধতি আলাদা। তাই তাঁরা সরকারি কর্মীদের মতো পেনশন-সহ কিছু সুবিধা অবশ্য পেয়ে থাকলেও তাঁদের হেল্থ স্কিমের আওতায় আনা হয়নি।