১৮ মাসের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দিতে খরচ ১০ হাজার কোটি টাকা, সরকারি কর্মীদের অ্যাকাউন্টে কবে ঢুকবে বাড়তি টাকা

35894
পুজো বোনাসের ঘোষনা মহার্ঘ ভাতা ডিএ

নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের ১৮ মাসের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) পরিশোধের দাবি জোরালো হচ্ছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট তিন কিস্তির এই বকেয়া ডিএ পরিশোধে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে অনুমান। তবে অষ্টম বেতন কমিশন বাস্তবায়নের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বকেয়া ডিএ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।  

পটভূমি

২০১৬ সালে মোদী সরকার অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করলে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি পায়। তবে গত কয়েক বছরে করোনা মহামারি ও অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে ২০২০-২০২১ সময়কালের ডিএ বকেয়া থেকে যায়। কর্মচারী সংগঠনগুলির দাবি, এই বকেয়া অর্থ দ্রুত পরিশোধ করা হোক। অন্যদিকে, নয়া বেতন কমিশন কার্যকর হলে বেতন কাঠামোতে পরিবর্তন আসতে পারে, যা বকেয়া ডিএ পাওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেবে।  

পড়ুন:  পশ্চিমবঙ্গ: দারুন খবর বাংলার সরকারি কর্মীদের জন্য, টানা ৯ দিন ছুটির সুযোগ, জেনেনিন কিভাবে?

আর্থিক প্রভাব

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, অষ্টম বেতন কমিশন পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে কেন্দ্রীয় কোষাগার থেকে বাড়তি ৩০ হাজার থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এতে উপকৃত হবেন প্রায় ৫০ লক্ষ কর্মচারী ও ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগী। তবে বকেয়া ডিএ পরিশোধের দাবি উপেক্ষিত হলে তা কর্মচারীদের ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে কর্মচারী সংগঠনগুলি ডিএর বকেয়া পরিশোধের জোর দাবি জানিয়েছে।  

পড়ুন:  DA Case: নয়া বছরের শুরুতেই বড় খবর এল? ডিএ মামলার শুনানি নিয়ে যা জানা যাচ্ছে?

সরকারের অবস্থান

এর আগে জনৈক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী গত মাসে জানান, বকেয়া ডিএ পরিশোধের বিষয়টি এখনও আলোচনায় নেই। অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞদের মতে, নয়া বেতন কাঠামোতে ডিএর হিসাব পুনর্বিন্যাস করা হতে পারে, যার ফলে বকেয়া টাকা আর না-ও মিলতে পারে। এমনকি ডিএর হার যদি ৩% বৃদ্ধিও করা হয়, তাতেও ৯-১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে।  

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

অষ্টম বেতন কমিশন কার্যকর হলে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন ৫১,০০০ টাকা বা তার বেশি হতে পারে বলে ধারণা। তবে বকেয়া ডিএর সমাধান না করে নতুন বেতন কাঠামো চালু করা হলে তা কর্মচারীদের জন্য দ্বৈত সঙ্কট তৈরি করবে। সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে, আর্থিক সুবিধা ও কর্মচারী অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে কিনা।  

পড়ুন:  যোগ্যদের তালিকা সরকারকে দিলেও, প্রকাশ্যে আনবে না SSC! মোট তিনটি তালিকা যাবে স্কুল শিক্ষাদপ্তরে

বর্তমান অবস্থা

কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হলেও সরকার এখনও কোনো স্পষ্ট বিবৃতি দেয়নি। এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই লক্ষাধিক কর্মী ও অবসরপ্রাপ্তরা বকেয়া টাকার জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন।