নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এবার বিরাট খবর সামনে এল। সব বলে দেব, রাজসাক্ষী হতে চেয়ে আবেদন করলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই। মঞ্জুর করল আদালত। পার্থর বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হতে চেয়ে আদালতে আবেদন করলেন তাঁরই জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যে সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে কলকাতার বিশেষ PMLA আদালত।
শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ক্ষমা করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন কল্যাণময়। সেই আবেদনও বিবেচনা করছে আদালত। চলতি সপ্তাহেই ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিশেষ PMLA আদালতে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজসাক্ষী হতে চেয়ে আবেদন করেন কল্যাণময়।
প্রাথমিক শিক্ষক দুর্নীতি চার্জশিটে কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ এনেছে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু হওয়ার পর সিবিআই ও ইডির তলবে বিদেশ থেকে এসে একাধিকবার হাজিরা দিয়েছেন কল্যাণময়। ইডিকে কল্যাণময় জানিয়েছেন, বাবলি চট্টোপাধ্যায় মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে যে কালো টাকা সাদা হত তা জানতেন তিনি। সেজন্য প্রথমে কোনও ব্যক্তিকে নগদে টাকা দেওয়া হত। তার পর সেই ব্যক্তি ওই টাকা ট্রাস্টকে অনুদান হিসাবে চেক অথবা ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পাঠাতেন। এভাবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা সাদা করা হয়েছে বলে দাবি করেন কল্যাণময়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই প্রয়াত হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়। এর পর তাঁর নামে একটি ট্রাস্ট তৈরি করেন পার্থ। সেই ট্রাস্টের কর্ণধার ছিলেন তাঁর একমাত্র মেয়ে সোহিনী ভট্টাচার্য। সেই ট্রাস্টের অধীনে পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে জমি লিজ় নিয়ে বাবলি চট্টোপাধ্যায় মেমোরিয়াল স্কুল নামে একটি স্কুল তৈরি করেন কল্যাণময়।