নিউজ ডেস্ক: শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তুলকালাম হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির সামনে তুমুল বিক্ষোভ এসএফআই, অতি বাম ছাত্র সংগঠনের। এমনকী শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়। তবে তারপরেই একাধিক ভিডিয়োতে দেখা যায় গাড়ির ধাক্কায় জখম হন একাধিকজন। কেন যাদবপুরে ‘ছাত্র চাপা’ পড়েছিল? উত্তর দিলেন ব্রাত্য বসু।
একটি টিভি চ্যানেলে একান্ত সাক্ষাৎকারে ব্রাত্য বসু বলেন, “ওই সংবাদমাধ্যমে ছাত্রের আহত হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, খারাপ লাগছে। ওরা পাশাপাশি কি বলছেন অধ্য়াপকরাও মার খেলেন। তৃণমূলপন্থী অধ্য়াপক ওদের মারা যেতেই পারে তাই না! তৃণমূলের মন্ত্রী তাঁর গাড়ি ভাঙচুর হতে পারে, সিকিউরিটিকে ধরে পেটানো হতে পারে, এতগুলো অধ্যাপক নিগ্রহের পরে গাড়ি ভাঙা যেতে পারে। শুধু আমার গাড়ি নয়। একাধিক গাড়ি ভাঙা হল। তৃণমূলের কর্মী সংগঠন তার অফিস ভাঙা যেতে পারে। এটা যদি কেউ বলে থাকেন তাদের সঙ্গে হলে কী করতেন তারা? তবে যারা করেছেন তারা কেউ সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের নয়। গত সপ্তাহে তারা পোস্টার দিয়েছে এসএফআইয়ের অবস্থা জঙ্গলমহলের মতো করে দেব। তাদের সঙ্গে এসব হলে কী করতেন?”
ছাত্রের জখম নিয়ে ব্রাত্য বলেন, বললাম তো খারাপ লেগেছে। আমার গাড়ি, আমি তো মারিনি। চালক ভয় পেয়ে গিয়েছিল। কম বয়সি ছেলে। ওকে যখন ঘুঁষি মারছে। সামনের কাঁচটা ভেঙে গায়ে পড়ছে, ওরও গায়ে পড়েছে, আমার গায়েও পড়েছে। আমাদের আহত হওয়াটা ঠিক আছে। কিন্তু ছাত্রের আহত হওয়াটা কাম্য ছিল না।
তিনি আরও বলেন, ওর বাড়িতে শুনলাম কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। আমার সহকর্মী। আমি কিছু একটা করব। তবে সেটা বলব না। তিনি বলেন, হাসপাতালে আহত ছাত্রকে দেখতে গিয়েছেন উপাচার্য। সেখানেও মারধর দিচ্ছে। এটা কী!
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী সেদিন যে গাড়ির কাগজপত্রে অসংগতি রয়েছে, পলিউশনের সার্টিফিকেট নেই বলে দাবি করা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, ওটা দেখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি সরকারি গাড়ি চড়ি। যদি এরকম কিছু হয়ে থাকে তবে গাড়ি পালটানোর জন্য বলব।