Homeপশ্চিমবঙ্গনববর্ষে সুখবর রাজ্যের শিক্ষকদের জন্য: ঊর্ধ্বসীমার পরেও বেতন বৃদ্ধি মিলবে

নববর্ষে সুখবর রাজ্যের শিক্ষকদের জন্য: ঊর্ধ্বসীমার পরেও বেতন বৃদ্ধি মিলবে

এবার থেকে সেই পরিস্থিতির বদল ঘটতে চলেছে। নতুন বছরের সূচনাতেই রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর ঘোষণা করেছে যে, বেতনের ঊর্ধ্বসীমায় পৌঁছানোর পরেও শিক্ষকরা বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির সুযোগ পাবেন।

শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি: বছর শেষের ঠিক আগে বড় সুখবর পেলেন এরাজ্যের সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। এতদিন পর্যন্ত বেতনের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে যাওয়ার পর তাঁদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যেত। কিন্তু এবার থেকে সেই পরিস্থিতির বদল ঘটতে চলেছে। নতুন বছরের সূচনাতেই রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর ঘোষণা করেছে যে, বেতনের ঊর্ধ্বসীমায় পৌঁছানোর পরেও শিক্ষকরা বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির সুযোগ পাবেন।

নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

স্কুল শিক্ষা দপ্তর সম্প্রতি এই নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে, রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা এখন থেকে বেতন বৃদ্ধির সুযোগ পাবেন, এমনকি তাঁরা বেতনের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গেলেও। এতদিন এই নিয়ম শুধু রাজ্যের সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ছিল।

শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া

শিক্ষকদের একাংশের মতে, এটি নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, এখনও অনেক ক্ষেত্রে সরকারি স্কুল এবং সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের মধ্যে সুযোগ-সুবিধার বিস্তর ফারাক রয়ে গেছে।

বেতন বৃদ্ধির বর্তমান নিয়ম

পড়ুন:  শোক সংবাদ: ভয়ংকর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল শিক্ষকের, শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়, কান্নায় ভেঙে পড়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা

সরকারি স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অনুযায়ী তিনবার বিশেষ বেতন বৃদ্ধি হয়—৮, ১৬ এবং ২৪ বছর পরিষেবা সম্পন্ন হলে। অন্যদিকে, সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে এই সুবিধা মাত্র দু’বার—১০ এবং ২০ বছর পরিষেবার পর দেওয়া হয়।

অন্যান্য অসামঞ্জস্য

শিক্ষকদের আরেকটি বড় দাবি, সরকারি কর্মীদের মতো স্বাস্থ্যবিমা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া। বর্তমানে সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা এই ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

পড়ুন:  যে কোনো সময়…! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রাজ্যের শিক্ষকরা, বাড়ছে চিন্তা, যা জানা যাচ্ছে

শিক্ষক মহলের প্রত্যাশা

শিক্ষক মহলের একাংশ মনে করছেন, এই নতুন নিয়ম তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে তাঁরা চান, আরও অনেক অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয় সরকারের বিবেচনার আওতায় আসুক। বিশেষত, কাজের মান এবং দায়িত্ব সমান হওয়া সত্ত্বেও সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে পার্থক্য দূর করার দাবি দীর্ঘদিন ধরে উঠে আসছে।

নববর্ষের প্রাক্কালে এই সুখবর শিক্ষকদের মুখে হাসি ফোটালেও তাঁদের আরও কিছু দাবি পূরণের জন্য প্রশাসনের দিকে চেয়ে থাকতে হবে শিক্ষকদের।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments