SSC, সুপ্রিম কোর্ট: স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হবে আগামী বৃহস্পতিবার। নির্ধারিত হবে প্রায় ছাব্বিশ হাজার চাকরিজীবীর ভবিষ্যৎ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০ টায় সুপ্রিম কোর্টে বিস্তারিত শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হবে কি না, তা নিয়ে হবে সওয়াল জবাব। বৈধ চাকরি শনাক্ত করা সম্ভব কি না, তা নিয়েও হবে সওয়াল জবাব, জানালেন প্রধান বিচারপতি।
আদালত জানিয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সেক্ষেত্রে এবার কার চাকরি থাকে আর কার চাকরি থাকবে না সেটা নিয়েই এখন মূল প্রশ্ন।
এদিনের শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানান, মামলাটি অহেতুক জটিল করা হবে না। সুপ্রিম কোর্ট দুটো বিষয় বিবেচনা করে দেখবে। প্রথম- পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হবে কি এবং দ্বিতীয়ত, বেআইনিভাবে চাকরি প্রাপকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া কিভাবে বাতিল করা হবে।
বিবেচনা করা হবে দুটো বিষয়, সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে, না কি, বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের বাছাই করে বাতিল করা হবে, এই দু’টি মূল বিষয় আদালত বিবেচনা করবে। আজ দেশের সর্বোচ্চ আদলত সুপ্রিম কোর্টে চাকরি বাতিল মামলার শুনানি ছিল।
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি করা হবে। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘‘আমার দু’টো বিষয় বিবেচনা করব। অহেতুক বিষয়টি নিয়ে জটিলতা বৃদ্ধি করবেন না।’’ কী সেই দু’টি বিষয়, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে, না কি, বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের বাছাই করে বাতিল করা হবে, এই দু’টি মূল বিষয় আদালত বিবেচনা করবে।
প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, এই বিষয়টি গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা নেই। হাই কোর্টে বিষয়টি বলা হয়েছিল। হাই কোর্ট বিবেচনা করেই রায় দিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘অহেতুক একাধিক বিষয় ঢুকিয়ে জটিলতা বৃদ্ধি করবেন না। অত্যন্ত লিমিটেড ইস্যু। তা নিয়েই শুনানি হবে।’’
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে বেশ কিছু ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) উদ্ধার করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিচ্যুতদের আইনজীবী। তাঁর সওয়াল, ওই সব নথির ৬৫বি করা হয়নি। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, এই বিষয়টি গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা নেই। হাই কোর্টে বিষয়টি বলা হয়েছিল। হাই কোর্ট বিবেচনা করেই রায় দিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ওই রায় দেয়। তার ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেখানে রাজ্য ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদও মামলা দায়ের করে। শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিহারাদের একাংশও।