নিউজ ডেস্ক: এক সহকারী অধ্যাপকের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মিরাটের সুভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আত্মহত্যা করেছেন। ঘরেই তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। এক বন্ধুর কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও এএসপি। রুমে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গেছে।
যেখানে লেখা আছে- ‘আমি ছাড়লাম, আমি আমার কর্মের জন্য দায়ী’ ৩ লাইনের সুইসাইড নোটের নিচে দীপাংশু স্বাক্ষর করে তারিখ লিখেছেন।
বন্ধু নিতিন সাংওয়ান জানান- সকাল ৮টায় হোয়াটসঅ্যাপে দীপাংশুর মেসেজ আসে। এতে তিনি লিখেছেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় আমার ফ্ল্যাটে এসে দেখা করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলতে হবে। এই বার্তার পর আমি দীপাংশুর বাড়িতে গিয়ে দেখা করি। সেখানে গিয়ে দেখি দীপাংশু ঘরের দরজার ফ্রেম থেকে ঝুলছে।
দীপাংশু নিজেই মিরাট থেকে পড়াশোনা করেছেন দীপাংশুর বন্ধু নিতিন জানিয়েছেন, গত 4 মাস ধরে দীপাংশু মিরাটের সুশান্ত সিটিতে একটি ভাড়ার ফ্ল্যাটে থাকতেন। এর আগে তিনি নীলকন্ঠে থাকতেন। 2015 সালে, দীপাংশু একই সুভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমডি বিডিএস করেন।
এরপর তিনি মধ্যপ্রদেশে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। যেখানে তিনি এক বছর ধরে তার ক্লিনিক চালান। পরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ বাড়তে থাকলে দীপাংশু মিরাটে ফিরে আসেন। এখানে তিনি সুভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ শুরু করেন।
বিয়ে হয়েছিল সাত বছর আগে মধ্যপ্রদেশের বালাঘাটের আরসি মিশ্রের সঙ্গে। তাদের দুই বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে স্ত্রী আরসি তার মেয়েসহ দীপাংশুর থেকে আলাদা থাকছেন।
দীপাংশুর বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন স্ত্রী। আদালতে ধারাবাহিকভাবে হাজির হতে হচ্ছিল। এ কারণে দীপাংশু প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ছিলেন।
সুভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই বন্ধুত্ব হয় নিতিনের। এ কারণে প্রায়ই দেখা হতো দুজনের। এমনকি শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে দীপাংশু নিতিনকে মেসেজ করে সন্ধ্যায় ফ্ল্যাটে দেখা করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
এএসপি অন্তরীক্ষ জৈন জানান, সাত বছর আগে আরসি মিশ্রের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল দীপাংশুর। দুজনের একটি মেয়েও রয়েছে। দুই বছর ধরে দম্পতির মধ্যে বিরোধ চলছে, বিষয়টি আদালতে রয়েছে। কয়েক মাস ধরে আদালত থেকে নোটিশ পাঠানো হচ্ছিল। এ কারণে মানসিক চাপে ছিলেন দীপাংশু। পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে।