নিউজ ডেস্ক: চাকরি নিয়ে চিন্তা বাড়ছে! এই অবস্থায় টেট সার্টিফিকেট চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক স্কুলের কয়েকশো শিক্ষক। পুজোর ছুটির পরে আদালত খুললে মামলাটি শুনবেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ।
মামলাকারী শিক্ষকদের বক্তব্য, প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি করলেও প্রাথমিক শিক্ষক দুর্নীতির মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনেককে সিবিআই ডেকে পাঠাচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ টেট সার্টিফিকেট না দেওয়ার কারণে তা দেখানো যাচ্ছে না। এ বার ওই সার্টিফিকেট দেওয়া হোক। পর্ষদ ওই দাবি মেনে না নেওয়ায় শিক্ষকেরা মামলা দায়ের করেছেন।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৪ সালে রাজ্যজুড়ে প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। ওই পরীক্ষায় প্রায় ২০ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী বসেন। ওই পরীক্ষায় কৃতিদের নাম জানায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। যদিও চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, সার্টিফিকেট বা কে, কত নম্বর পেয়েছেন তা জানানো হয়নি। পরে দুর্নীতির কারণে গ্রেফতার করা হয় তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে।
জানা যাচ্ছে, বিদ্যুৎ মালাকার-সহ ৩০৬ জন শিক্ষক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, চাকরি দেওয়ার সময় পর্ষদ টেট উত্তীর্ণ বলে জানিয়েছিল। তবে তারা কোনও সার্টিফিকেট দেয়নি। এখন ওই নিয়োগপ্রক্রিয়া তদন্তের আতসকাচের তলায় রয়েছে। ফলে চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। টেট সার্টিফিকেট না থাকলে চাকরি যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। শিক্ষকদের দাবি, বিষয়টি নিয়ে পর্ষদ এবং শিক্ষা দফতরের বার বার জানানো হয়েছে। তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি।