নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে এক মহিলার টুকরো টুকরো মৃতদেহ একটি ফ্রিজে পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার মুল অভিযুক্ত, মুক্তি রঞ্জন রাই তার মাকে বলেছিলেন যে তিনি মহালক্ষ্মীকে ভালোবাসতেন, কিন্তু মহালক্ষ্মী অপহরণের মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়েছিলেন, ওডিশা পুলিশ সূত্র এই খবর সামনে এসেছে। মুক্তি রঞ্জন রাই আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার একদিন আগে তার মাকে অপরাধের কথা বলেছিলেন।
বেঙ্গালুরুর ভ্যালিকাভালের একটি ফ্ল্যাট থেকে মহালক্ষ্মীর দেহ উদ্ধারের চার দিন পর ২৫ সেপ্টেম্বর ওড়িশার ভদ্রক জেলার একটি গাছে মুক্তি রঞ্জনকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। মহালক্ষ্মীর মৃতদেহ ৫৯ টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায়। ২৯ বছর বয়সী ওই তরুণী বিবাহিত হলেও স্বামীর থেকে আলাদা থাকছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহালক্ষ্মীকে হত্যা করার পর, মুক্তি রঞ্জন প্রায় তিন বছর পর ওড়িশায় তার বাড়িতে যান এবং তার মায়ের কাছে অপরাধের কথা স্বীকার করেন। রাই তার মায়ের কাছে গিয়ে কাঁদেন এবং বলেন তিনি মহালক্ষ্মীকে হত্যা করেছেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে তিনি মহালক্ষ্মীর জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছেন, তবে তার আচরণ তার প্রতি ভাল ছিল না।রাই ওডিশা পুলিশের কাছে ঘটনাস্থলে পাওয়া কথিত সুইসাইড নোটে অপরাধের কথাও স্বীকার করেছে।
বেঙ্গালুরু পুলিশ জানিয়েছে, মহালক্ষ্মী এবং মুক্তি রঞ্জন বেঙ্গালুরুর একটি মলে কাজ করেন এবং বন্ধু হয়ে ওঠেন। এরপর তারা সম্পর্কে জড়ান। পরে, মহালক্ষ্মী তাকে বিয়ে করার জন্য মুক্তি রঞ্জনকে চাপ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ এবং এই বিষয়টি তাদের মধ্যে ক্রমাগত তর্কের দিকে নিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, “মহালক্ষ্মী মুক্তি রঞ্জনকে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। রঞ্জন, যিনি বদমেজাজি ছিলেন, মহালক্ষ্মীকে হত্যা করে তার দেহ টুকরো টুকরো করে।” পুলিশ জানায়, ২-৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মহালক্ষ্মীকে খুন করা হয়। ২১ সেপ্টেম্বর তার মা তার লাশ খুঁজে পান।