নিউজ ডেস্ক: এবার সুপ্রিম কোর্টে বিরাট ধাক্কা খেল রাজ্যের শিক্ষকরা। বদলি নিয়ে একটি মামলায় ধাক্কা খেলেন শিক্ষকরা। রাজ্য সরকারের মতকেই মেনে নিল দেশের শীর্ষ আদলত। শিক্ষকদের বদলি নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় বহাল থাকল।
সুপ্রিম কোর্টে এদিন বিরাট ধাক্কা খেতে হল শিক্ষকদের। সুপ্রিম কোর্টে বিরাট ধাক্কা খেল রাজ্যের শিক্ষক সংগঠন।
বৃহস্পতিবার বদলি সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরী ও বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চ জানিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন চাইলে পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও জায়গায় বদলি করতে পারবে শিক্ষকদের। শিক্ষকদের যুক্তি এক্ষেত্রে মান্যতা দিল না সর্বোচ্চ আদালত।
শিক্ষকদের বদলির জন্য ১০ সি ধারা চালু করে রাজ্য। এখানে প্রশাসনিক বদলির ধারা কার্যকর করা হয়। সেই ১০ সি ধারা অনুযায়ী, রাজ্য সরকার চাইলে যে কোনও সময়, শিক্ষকদের যে কোনও জায়গায় বদলি করতে পারে। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তবে বদলি হয় এসএসসি-র মাধ্যমে। এর বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে যায় শিক্ষক সংগঠন। তবে সেই আর্জি খারিজ করে দেয় বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরী ও বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চ। শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, এসএসসি যে কোনও জায়গায় চাইলে বদলি করতে পারে।
এর আগে বেশ কিছু শিক্ষককে বদলি করে রাজ্য। অভিযোগ ওঠে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরোধিতা করায় এই শিক্ষকদের বদলি করা হচ্ছে। অভিযোগ বাড়ি থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরের স্কুলে বদলি করা হচ্ছে। এমনকি অভিযোগ ওঠে, দক্ষিণবঙ্গের শিক্ষকদের এমনকি উত্তরবঙ্গেও বদলি করা হচ্ছে।
এই নিয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে শিক্ষক সংগঠন। যদিও সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের মতামতকেই প্রাধান্য দিল। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশকে মমতা সরকারের জয় হিসাবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।
হতাশা প্রকাশ করে এই বিষয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারন সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “আমরা এই রায়ে হতাশ। সারপ্লাস ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে আমাদের দাবি ছিল সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতির মাধ্যমে যথাসম্ভব কাছের স্কুলে বদলি করা যেতে পারে। তা না হলে সরকার তথা শিক্ষাদপ্তর এই ক্ষমতার অপব্যবহার করবে। বদলির ক্ষেত্রে স্বজন, পোষণ, দুর্নীতি আরো বাড়বে। বিদ্যালয় স্তরে ভীতির পরিবেশ তৈরি হবে। শিক্ষা দপ্তরের কাছে আমরা আবারও দাবি জানাচ্ছি, সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতির মাধ্যমে প্রশাসনিক বদলি বা সারপ্লাস ট্রান্সফার নীতি কার্যকর করা হোক।”