শিক্ষক নিয়োগ: অবশেষে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে! আগামী সপ্তাহেই শুরু হতে চলেছে সাড়ে ১৩ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন গ্রহণ। নিয়োগের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে। অ্যাপটিটিউড টেস্টের ৫ পাঁচ নম্বর কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্যারা টিচারদের ক্ষেত্রে সরাসরি যুক্ত হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ১ জানুয়ারি ২০২৫ এর মধ্যে চাকরি প্রার্থীদের বয়স অনূর্ধ ৪০ হতে হবে। তবে সংরক্ষিত পদের চাকরি প্রার্থীদের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বয়সের ছাড় দেওয়া হবে।
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মোট ৫০ নম্বরে মূল্যায়ন করা হবে। তার মধ্যে মাধ্যমিক-৫ নম্বর, উচ্চ মাধ্যমিক-১০ নম্বর, এনসিটিই ট্রেনিং-১৫ নম্বর, টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট)- ৫ নম্বর, এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি- ৫নম্বর, সাক্ষাৎকার-৫নম্বর, অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে-৫ নম্বর রয়েছে।
প্রাথমিকের টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা আবেদন করবেন। ২০২৩ টেট-এ উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র ৬,৭৫৪ জন পরীক্ষার্থী। প্রথম ১০-এ রয়েছেন ৬৪ জন। এই পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন। পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ১৪৭ জন। পাশের হার ২.৪ শতাংশ। তার আগে ২০২২ সালেরও ফলপ্রকাশ হয়েছে। পাশ করেছিলে প্রায় ৫২হাজার পরীক্ষার্থী। এছাড়া ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের কিছু টেট পাশ চাকরি প্রার্থীরা আছেন।
নিয়োগে সুযোগ দেওয়া হোক তাঁদেরও, এই আবেদন জানিয়ে এবার হাই কোর্টের পুজো অবকাশকালীন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন ২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট অনু্ত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা। মামলাকারীদের দাবি, ২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় মোট ৪৭টি প্রশ্নের উত্তর ভুল নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। রাজ্যের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় – প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুরের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের একজন প্রতিনিধিকে নিয়ে কমিটি গঠন করে দিয়েছিল সমাধানের জন্য।