কলকাতা হাইকোর্টে ফের বিতর্ক: ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাঁচাতে ‘অ্যাপটিটিউড টেস্ট’-এ অতিরিক্ত ৫ নম্বরের প্রস্তাব

2532
কলকাতা হাইকোর্ট শিক্ষক নিয়োগ

কলকাতা: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের এজলাসে ফের উত্তাল হল বহুচর্চিত ৩২ হাজার প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের মামলা। চাকরি রক্ষায় নতুন প্রস্তাব রাখলেন মামলাকারীদের আইনজীবী। তাঁর দাবি, অ্যাপটিটিউড টেস্টে প্রতিটি প্রার্থীকে অতিরিক্ত ৫ নম্বর দিলে নতুন করে মেধাতালিকা তৈরি করা সম্ভব হবে, ফলে অনেকের চাকরি বাঁচানো যাবে।

তবে এই প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে আদালতে শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রর ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে— ‘‘এমন হলে প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের অবস্থান কোথায় দাঁড়াবে?’’ জবাবে মামলাকারীদের আইনজীবী যুক্তি দেন, ‘‘প্রশিক্ষিতরা তো এমনিতেই ১৫ নম্বরের বাড়তি সুবিধা পান। তাঁদের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’’

উল্লেখযোগ্য, ২০২৩ সালের মে মাসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে ৩২ হাজার প্রশিক্ষণহীন শিক্ষক চাকরি হারান। সেই নির্দেশে বলা হয়েছিল, রাজ্য সরকারকে তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। পর্ষদ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় এবং পরে বিষয়টি পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সর্বোচ্চ আদালত ডিভিশন বেঞ্চকে নির্দেশ দেয়, সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শুনে রায় দিতে। বর্তমানে বিচারপতি চক্রবর্তী ও বিচারপতি মিত্রর বেঞ্চে মামলার শুনানি চলছে।

পড়ুন:  'তুমি কি আমার জন্য জীবন দিতে পারবে?', ভালোবাসার প্রমান দিতে স্ত্রীকে ভিডিয়ো কল করতে করতেই গলায় দড়ি স্বামীর...

এবার অ্যাপটিটিউড টেস্টে ৫ নম্বর ‘বোনাস’-এর দাবি নিয়ে উঠছে আইনগত প্রশ্ন। আদালত পর্যবেক্ষণ করছে, প্রশিক্ষণহীনদের চাকরি ফেরাতে গিয়ে প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে না তো?

এর ফলে বলাই যায় সব মিলিয়ে, ৩২ হাজার চাকরির ভবিষ্যৎ এখন নির্ভর করছে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ওপর।