Kode Iklan atau kode lainnya

SSC ২৬ হাজার নিয়োগে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের যোগ নিয়ে বড় খবর! জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি আদালতে তালিকা জমা

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বড় খবর সামনে এল। নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরাও! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এ বার তদন্তে উঠে এসেছে বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার নামও। শিক্ষা দফতরের পদস্থ কর্তাদের একাংশের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতার’ সুবাদে ওই প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকারা অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন বলে অভিযোগ। অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদে নয়া তথ্য সামনে এল।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ৫০ জনের নাম পাওয়া গেছে। তদন্তকারীদের একাংশের বক্তব্য, যে সব প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকার নাম সামনে এসেছে, তাঁরা আপাত ভাবে ‘প্রভাবশালী’ নন। তবে শিক্ষা দফতরে যাতায়াতের সূত্রে পদস্থ আধিকারিকদের একাংশের সঙ্গে ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা আছে। সেই যোগাযোগ কাজে লাগিয়েই এই চক্রে তা‌ঁরা ঢুকেছেন বলে তদন্তকারীদের সূত্রে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে প্রায় ৫০ জনের নাম এসেছে। তাঁদের মধ্যে প্রধান শিক্ষক বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছাড়াও কয়েক জন সহকারী প্রধান শিক্ষকের নাম আছে। ওই শিক্ষকদের তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হতে পারে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে বলেও দাবি করেছে সিবিআইয়ের সূত্র।ওই শিক্ষক-শিক্ষিকা যে আধিকারিকদের ঘনিষ্ঠ তাঁদেরও তলব করা হতে পারে বলে জানা গেছে। 

এসএসসির অযোগ্য প্রার্থীদের বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ায় কি ভূমিকা ছিল এই শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের? তারা কি সরাসরি টাকার লেনদেনেও যুক্ত ছিলেন? জানতে চাইছেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর মিলেছে, ওই ৫০ জনকে তলব করা হতে পারে। 

CBI সূত্রে দাবি করা হয়েছে, SSC-র ২০১৬ সালের ইতিমধ্যেই আড়াই হাজারের বেশি অযোগ্য চাকরি প্রাপককে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলা ধরে ধরে তলব করে, তাঁদের মধ্যে থেকে প্রায় ২ হাজার ৩০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করাও সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, সেই জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরেই এই প্রায় ৫০ জন এজেন্টের সন্ধান মিলেছে। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, ২০১৬ সালের প্যানেলে চাকরি পাওয়া ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেলে, সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। তবে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রডূড় জানিয়ে দেন, যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা গেলে গোটা প্যানেল বাতিল করা হবে না। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশের পর কলকাতা হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ CBI-কে অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দেয়।

সিবিআই এর আগেই দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতির নীল নকশা তৈরি হত তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে।  SSC-র কর্তা থেকে চাকরি চুরির এজেন্ট, সবাই উপস্থিত থাকতেন সেখানে।  কাদের চাকরি দেওয়া হবে, সেই তালিকা তৈরি হত পার্থর বাড়িতে চাকরি বিক্রির বৈঠকে।  পার্থর নাকতলার বাড়িতেই হত চাকরি বিক্রির এজেন্ট-মিটসেখানে নিয়মিত যাতায়াত ছিল প্রসন্ন রায়, প্রদীপ সিংদের মতো মিডলম্য়ানদের। নিয়োগ দুর্নীতির নীল নকশা তৈরি হত তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে।

close